মানুষ কি নুর দিয়ে তৈরী ? না, মাটির তৈরী !
১ম অংশ পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
২য় অংশ পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
৩য় অংশ পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
১১) সৃষ্টির উপাদানের উপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তির
মর্যাদা নির্ণয় করা সরাসরি কুরআন ও হাদীছ বিরোধী কথা ।
১১,১ কারণ মহান আল্লাহ বলেই
দিয়েছেনঃ.
‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট তোমাদের
মধ্যে ঐব্যক্তি বেশি সম্মানিত যে
তোমাদের মধ্যে সর্বধিক তাক্বওয়াশীল’ পরহেযগার (সূরা হুজুরাত: ১৩)
১১,২ নবী (সাঃ) বলেনঃ হে মানব
মন্ডলি! নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক এক, সাবধান! কোন আরবীর আজমীর (অনারব) উপর, কোন
আজমীর আরবীর উপর প্রাধান্য নেই । অনুরূপভাবে কোন লাল বর্ণের ব্যক্তির কালো
ব্যক্তির উপর, কোন কালো ব্যক্তির লাল বর্ণের ব্যক্তির উপর প্রাধান্য নেই ।
প্রাধান্য একমাত্র তাকওয়া পরহেযগারিতার ভিত্তিতে
হবে । ‘নিশ্চয়
আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি বেশি সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে সর্বধিক
তাক্বওয়াশীল’-পরহেযগার (আহমাদ প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ । দ্রঃ শাইখ আলবানীর গায়াতুল
মারাম, পৃঃ১৯০, হা/৩১৩)
কাজেই নবী (সাঃ) নূর থেকে
সৃষ্টি না হয়ে
মাটি থেকে সৃষ্টি হওয়া তাঁর জন্য মোটেও মানহানিকর
বিষয় নয় যেমনটি
অসংখ্য বিদআতী তাই ধারণা করে বসেছে ।
বরং নবী (সাঃ) মাটির তৈরী হয়েও
সৃষ্টির সেরা ব্যক্তিত্ব, সর্বাধিক মুত্তাক্বী-পরহেযগার । সমস্ত সৃষ্টি কুলের
সর্দার, নবীকুল শিরোমণী, আল্লাহর খালীল-অন্তরঙ্গ বন্ধু । আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে
হাশরের মাঠে মহান শাফাআতের অধিকারী, হাওযে কাউছারের অধিকারী, সর্ব প্রথম জান্নাতে
প্রবেশকারী । মাক্বামে মাহমূদের অধিকারী, রহমাতুল লিল আলামীন, শাফিঊল লিল মুযনিবীন
।
এসব বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামাআতের মাঝে কোনই দ্বিমত নেই । ইহাই ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম, আইম্মায়ে
মুজতাহিদীনের বিশ্বাস । যুগ পরম্পরায় এই বিশ্বাসই করে আসছেন সকল সুন্নী মুসলিম ।
১২) ‘সৃষ্টির উপাদানের ভিত্তিতে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠত্ব
অজর্ন করে’ এটা ইবলীস শয়তানের ধারণা ও দাবী মাত্র ।
১২,১ এই অলিক ধারণার ভিত্তিতেই
সে (ইবলীস) আগুনের তৈরী বলে মাটির তৈরী আদমকে সিজদাহ করতে অস্বীকার করে ছিল (উপরের ৪,১ ও ৪,২ দ্রঃ) ।
‘নবী (সাঃ) কে নূরের তৈরী গণ্য
করা হলে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ হবে, আর মাটির তৈরী গণ্য করলে সেই শ্রেষ্ঠত্ব
বিলুপ্ত হবে, তাতে তার মানহানী হবে’ মর্মের
যুক্তিটি শয়তানের যুক্তির সাথে মিলে কিনা
চিন্তা-ভাবনা করার উদাত্ত আহ্বান রইল ।
১২,২ কাফেররাও নবী রাসুলকে
মাটির তৈরী মানুষ বলে তাঁর প্রতি ঈমাম আনে নাই, অনুসরণ করে নাই, তাকে আদর্শ হিসাবে
গ্রহণ করে নাই (উপরের
৫,১ থেকে ৫,৮ দ্রঃ) ।
আপনারা যারা নূরের তৈরী আক্বীদা
পোষণ করেন, মাটির তৈরী বলে কি আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে চান না ?!!
এ ভাবলে করলে কাফেরদের সাথে
মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় নয় কি ?
শেষ কথা আল্লাহ খালেক (সব কিছুর স্রষ্টা) আর সবকিছু তার মাখলুক (সৃষ্টি)
আল্লাহ
তা‘আলা বলেন,
‘আল্লাহ সমস্ত কিছুর
স্রষ্টা ও তিনি সমস্ত কিছুর কর্মবিধায়ক । আকাশ ও পৃথিবীর চাবিও তাঁরই
কাছে’ {যুমার ৬২-৬৩}
আর শ্রেষ্ঠ মাখলুক হল মানুষ [যে
কারনে আল্লাহ নুরের তৈরী ফেরেশতাকে মাটির তৈরী মানুষ আদম (আঃ) কে সেজদা করার আদেশ
দিলেন]
মানুষের
মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ
হল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ।
তাঁর শ্রেষ্ঠতের
বহু কারন রয়েছে । তন্মধ্যে
তাঁর প্রতি আল্লাহর বানী
আল কুরআন নাযিল হয়েছে এবং তিনিই আল্লাহর বানীর সর্বাপেক্ষা বুঝদ্বার ও ব্যাখ্যা
বিশ্লেষক ।
আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশীগ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা
দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না । আপনার প্রতি আল্লাহর করুনা অসীম (নিসা-১১৩)
(৪র্থ সমাপ্ত)
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট। সেগুলোই কিতাবের আস্ল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সতারাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা আনুস্নধান করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখার উদ্দেশ্যে তৎমধ্যেকার রুপাকগুলোর। আর সে গুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত আর কেহ জানেনা। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর,তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তিসম্পন্নেরা ছাডা অপর কেউ শিক্ষা গ্রহ্ন করেনা"(সুরা-আল ইমরানঃ ৭)।
উত্তরমুছুনপ্রথম শ্রেনীর একজন ছাত্রকে বীজগণিতের সুত্রের সাহায্যে অঙ্ক শিখালে তার বোধগম্য হওয়ার কথা নয়।
জনাব আপনি এই কমেন্ট দ্বারা কি বুঝাতে চাচ্ছেন ।
মুছুনবিষয় সম্প্রিক্ত কমেন্ট দিন । ভুল ত্রুটি থাকলে সরাসরি বলুন ।