বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে (৩য়)
১ম অংশ- http://sottersondhane.blogspot.com/2012/11/blog-post.html
(pls click & read)
১ম অংশে পাবেন-
নামায কিভাবে একই দিনে হয় ? এর কিছু দলিল ।
২য় অংশে চাঁদ
দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।
দেশ অনুযায়ী হিজরী সন গণণা পদ্ধতির ভিন্নতা রয়েছে ।
যেমন:
* দেশের
রাজনৈতিক সীমার মধ্যস্হ স্হলভাগে খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখার খবর প্রচার করে দেশে
হিজরী সনের মাস শুরু করা । যেমন: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ওমান, মরক্কো এবং
ত্রিনিদাদ-টোবাগো ।
* সৌদি আরবের
ঘোষনা অনুসরন করা । যেমন: কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন,
আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ।
* পাশবর্তী
দেশ হতে মাস শুরু করার খবর সংগ্রহ করা । যেমন: নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া হতে,
মালদ্বীপ শ্রীলন্কা হতে খবর সংগ্রহ করে রোজা ও ঈদ করে ।
* বিশ্বে
প্রথম মাস শুরুর ঘোষক দেশের অনুসরন করা । যেমন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেশগুলো,
জ্যামাইকা, বার্বাডোস
* নিজস্ব
ভুখন্ডে ফজরের আগে চাঁদের জন্ম বিবেচনা করে মাস শুরু করা । যেমন: লিবিয়া
* চাঁদের বয়স
৮ ঘন্টা, উচ্চতা ২ ডিগ্রী, কৌনিক ব্যবধান ৩ ডিগ্রী এর বেশী হলে মাস শুরু করা ।
যেমন: মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর
* আগেই
পাটীগণিতের সুত্র দিয়ে অগ্রীম পন্জিকা বানানো । যেমন: ইসমাইলিয়া ও কাদিয়ানী । মুলত
এরা অমুসলিম জাতি
* আন্তজার্তিক
ক্ষেত্রে পরিচিত দুরর্বতী দেশকে অনুসরন । যেমন: মালয়েশিয়াকে জাপান, তাইওয়ান,
কোরিয়া, পালাউ অনুসরন করে
* বিশ্বের
কোথাও সর্বপ্রথম নতুন চাঁদ দেখার বা তার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করা । যেমন: লেবানন
* ৪৮০ মাইল
দূরত্বকে নতুন চাঁদ দেখার ভিন্ন উদয় অঞ্চল বিবেচনা করে খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখে
একই দেশে দুই দিন মাস শুরু করা । যেমন: ভারতের পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা, মনিপুর,
গুজরাট সহ বিভিন্ন প্রদেশ
* বিশ্বের
কোথাও সর্বপ্রথম চাঁদের জন্ম এবং মক্কার সূর্যাস্তের পর চাঁদের অস্ত যাওয়ার
মাধ্যমে মাস শুরু করার ঘোষনা করা । এ পদ্ধতিতে বিশ্বের কোথাও না কোথাও নতুন চাঁদ
দেখার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করা হয় তা খালি চোখেই হোক বা শক্তিশালী দুরবীন দিয়েই হোক
। যেমন: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামী
আইনবিদ পরিষদ এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফাতওয়া এন্ড রিচার্সের নিয়ন্ত্রনাধীন
এলাকা ও দেশসমূহ
(দেখুন: http://www.moonsighting.com/methods.html )
এধরনের ভিন্ন ভিন্ন
মানদ্বন্দের ভিত্তিতে মাস শুরুর করায় মুসলিম বিশ্বে বিচ্ছিন্নতা এবং ধর্মীয়
উৎসবগুলো সার্বজনীনতা ও ধর্মীয় তাৎপর্য হারাচ্ছে ।
* রাসুল (সাঃ) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিযরতের দিন ১ হিজরী সাল
ধরে ১ তারিখ নির্ধারণ করে ১২ মাসে বছর এভাবে হিজরী সাল গণনা হয় । বিভিন্ন মানদ্বন্দে চাঁদ দেখা বা স্বাক্ষীর
জন্য হিজরী সাল তারিখের গড়মিল হয়েছে ।
* কুরআন নাযিল হয়েছে লাইতুল ক্বদরে (বাকারা-১৮৫; ক্বদর-১) ।
হযরত আয়েশা (রাজিঃ)
বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, রমযানের শেষ দশ
তারিখের বেজড় রাতসমুহে লাইলাতুল কদরকে তালাশ কর-সহিহ আল বুখারী ২/২৮৪ হাদিস নং
১৮৭৪
বিশ্বে ক্বদরের তারিখ বিভিন্ন হলে কোনটা সঠিক হবে!!
* ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম-হযরত আবু উবাইদা (রাজিঃ) বলেন, আমি
হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাজিঃ) এর সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছি । তিনি বলছেন, এ
দুই দিনের রোযা রাখা থেকে নবী (সাঃ) নিষেধ করেছেন । প্রথম দিন হলো, যখন তোমরা রোযা শেষ কর, আর দ্বিতীয় দিন হলো, যখন তোমরা
কোরবানীর গোস্ত খাবে-সহিহ আল বুখারী ২/২৭২ হাদিস নং ১৮৫১
*আবু
সাঈদ খুদরী রা: থেকে বর্নীত, রাসুল (সাঃ) রোযার ঈদের দিন এবং কুরবানীর ঈদের দিন
রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন (সূত্র:
সহীহ সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড/১৮৬৭, ১৮৬৮ ও সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড/২৫৩৭-২৫৪২)
এক দেশে ঈদ হলে
অন্য দেশে রোযা রাখে !! কে হারাম করে ?!
* আরাফা (জিলহজ্ব
মাসের নয় তারিখ) ও আশুরার (দশই মুহাররাম) তারিখের ফযিলত- হযরত আবু কাতাদাহ (রাজিঃ)
বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আরাফার রোযা
আগের পরের দু’বৎসরের গুনাহ মাফ করে দেয় এবং আশুরার রোযা বিগত এক বৎসরের গুনাহ সমুহ
ক্ষমা করে দেয়-আহমাদ, আবুদাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসলিম শরীফ ৪/১২৬ হাদিস নং
২৬১৪
কোন দেশের আরাফ ও
আশুরার তারিখ সঠিক!!
* জিলহজ্বের ১০
তারিখে (সউদীর চাঁদের উপর নির্ভর করে) হাজিগণ কুরবানী করেন ।
* হাদীস অনুযায়ী কিয়ামত হবে ১০ই মুহাররমের শুক্রবার ।
পৃথিবীতে কিয়ামত কোন দেশের তারিখ অনুযায়ী হবে !!
উপরের বিষয়গুলোর তারিখ যা চাঁদের উদয়ের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ
করা হয় । যার যার নিজ দেশের চাঁদ উদয়ের
উপর নির্ভর করে উক্ত তারিখ গণনা করলে সমগ্র বিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিন হয় । আবার কোন
দেশে ২৯ বা ৩০ দিনে মাস শেষ অন্য দেশে আর ১ দিন বা ২ দিন পরে মাস শেষ হয় । অর্থাৎ
উক্ত দুই দেশে একত্র করলে মাসের দিন হয় ৩০ বা ৩১/৩২ যা শরীয়ায় কোন দলিল পাওয়া যায়
না ।
অতএব উক্ত দিনের তারিখ সঠীক না হলে গুনাহ্গার বা ফযিলত থেকে
বঞ্চিত হতে হবে ।
সর্বজন স্বীকৃত যে উক্ত
দিন (তারিখ) পৃথিবীতে একটাই হবে এবং আরবী মাস ২৯ বা ৩০ দিনে ।
একথা
সকলেরই জানা, শবে ক্বদর, আরাফা, পবিত্র ঈদুল আযহা, আশুরা, ঈদ-ই-মিলাদুন নবী
সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম, পবিত্র শব-ই-মিরাজ, শব-ই-বরাত পালনের দিন তারিখ বেশ
কিছু দিন পূর্বেই সংবাদ পাওয়া যায় । যা বিশ্বে একই দিনে পালন করা সম্ভব ।
রমযান
মাসের ১ম (যে কোন মাসের ১ম) তারিখ নির্ধারন এবং বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছানোর উপর
নির্ভর করে ১ম রোজা এবং ঈদুল ফিতর (পরবর্তী মাস) ।
প্রত্যেক
মাসের ১ম তারিখ নির্ধারনে বিশ্ব মুসলিম উম্মা এক হলেই সকল ইবাদত একই দিনে পালন করা
সম্ভব হবে ।
আমরা অনেকে মাযহাবের (ফেকাহ শাস্ত্রের) অনুসরণ করি । ফেকাহ
শাস্ত্র খুলে দেখুন তাদের কি মত ছিলঃ-
(চলবে)
৪র্থ অংশ-
http://sottersondhane.blogspot.com/2013/05/blog-post_8590.html (pls click & read)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন