রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

মসজিদ সমস্যা প্রসঙ্গে


সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা আস্‌সালামু আ’লাইকুম । 

আমি অনেক দিন যাবৎ মসজিদের কিছু সমস্যা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি । সমস্যাগুলো নিয়ে অনেকের সাথে আলোচনা করে ছিলাম । তারা কোন সমাধান দিতে পারে নাই । 

আমরা জানি মসজিদ সকল মুসলমানদের আল্লাহর ইবাদত করার স্থান । কারো কারনে যেন মসজিদে কোন মুসলমানদের ইবাদতের ব্যাঘাত না ঘটে সে দিকে সকলেরই লক্ষ রাখতে হবে । 

পবিত্র কুরআনে আছে-যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র মসজিদসমুহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় করতে চেষ্টা করে, তার চাইতে বড় যালেম আর কে ? এদের পক্ষে মসজিদসমুহে প্রবেশ করা বিধেয় নয়, অবশ্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় । ওদের জন্য ইহকালে লাঞ্ছনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে । 

আমি অনেক আলেমের মুখে শুনেছি কোন লোক নামায পড়তে থাকলে সেখানে কোরআন শরিফ শব্দ করে পড়া নিষেধ আছে যাতে নামাযি ব্যক্তির ইবাদতের ব্যাঘাত না ঘটে । আমি নিম্নে কিছু সমস্যা ও প্রস্তাব উল্লেখ করছিঃ-



() পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাযে অনেকেই (এক, দুই……) নামায শুরুর পর জামায়াতে এসে শরিক হয় এবং সালাম ফিরানোর পর বাকি নামায আদায় করে । কিন্তূ ইমাম সাহেব তাদের নামায শেষ না হতেই উচ্চ স্বরে মুনাজাত, ইসলামিক কার্যক্রম (যেমনঃ মিলাদ বা দোয়ার ব্যবস্থা আছে বা ওমুক জায়গায় ওয়াজ মাহফিল আছে) প্রচার করে । যা উক্ত নামাযি ব্যক্তির ইবাদতে বিঘ্ন ঘটে ।

প্রস্তাবঃ মুনাজাত যেহেতু নামাযের অংশ নয় অতঃএব তা উচ্চ স্বরে না বলাই ভাল অথবা না করাই ভাল ।

ইসলামিক কার্যক্রম ইকামতের পূর্বে প্রচার করা ভাল ।

প্রশ্নঃ উক্ত সমস্যা সমাধানের আপনি ইমাম সাহেব কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান তা সুস্থ মস্তিষ্কে, নিরপেক্ষ ভাবে বিবেচনা করবেন?

()নামাযের আগে বা পরে সামাজিক কার্যক্রম হিসাবে ইমাম সাহেব বলেন যে, ওমুক সাহেব কিছু বলবেন । এখানে নামাযের আগে সাহেবের বলার মাঝখানে অনেকেই বলে থাকেন নামাযের সময় হয়ে গেছে সংক্ষেপ করেন এবং নামাযের পরে বললে দেখা যায় অনেকেই সুন্নতের নামায শুরু করে দেয় । যা একটি বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় 

। প্রস্তাবঃ নামায চলার আগে বা পরে এরকম সামাজিক কার্যক্রম না করে অন্য সময়ে দিন ক্ষণ ঠিক করে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করা ভাল ।


প্রশ্নঃ উক্ত সমস্যা সমাধানের আপনি সামাজিক কর্মকর্তা হিসেবে কি পদক্ষেপ গ্রহন করতে চান তা নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করবেন?

() ফরজ নামাযের পর যারা তাবলিগ জামায়াত করেন তারাও উচ্চস্বরে কিতাবি তালিম আছে, ঈমান-আমল সম্বব্ধে আলচোনা হবে ইত্যাদি বলে থাকেন যা পরে আসা নামাযী ব্যক্তির নামাযে বিঘ্ন ঘটে ।

প্রস্তাবঃ যেখানে প্রতিদিন একই সময়ে তালিম হয় মুখে না বলে নামাযের পরে তালিম আছে এরকম লেখা একটি বোর্ড টানিয়ে রাখতে পারেন ।

ইক্বামতের পূর্বে কিতাবি তালিম আছে বা ঈমান-আমল সম্বন্ধে আলোচনা আছে বলে ঘোষনা করা যেতে পারে ।

প্রশ্নঃ যারা তাবলিগ জামায়াত করেন তারা উক্ত সমস্যা কিভাবে সমাধান করবেন তা নিরপেক্ষ ভাবে বিবেচনা করবেন?

() মুক্তাদির মধ্যে অনেকে সালাম ফিরানোর পর সাহায্য সহযোগীতার জন্য উচ্চস্বরে বলে ও ব্যক্তিগত সমস্যার কাহিনী শুরু করে দেয় । যা পরে আসা নামাযি ব্যক্তির নামাযে বিঘ্ন ঘটে ।

প্রস্তাবঃ মুক্তাদির কেহ ইমামের অনুমতি ছাড়া শব্দ করে বলবেন না । প্রয়োজনে নামাযের পূর্বে ইমাম সাহেবকে বলবেন তিনি ইক্বামতের আগে ঘোষনা করে সকলকে জানিয়ে দিতে পারেন ।

কেউ এরকম বললে পাশের কোন লোক তাকে থামিতে দিতে পারেন ।

প্রশ্নঃ এ ব্যাপারে আপনি ইমাম সাহেব কি ভুমিকা পালন করপেন তা নিরপেক্ষ ভাবে বিবেচনা করবেন?

বিঃ দ্রঃ মসজিদের আদব রক্ষার্থে সকলকে নিরপেক্ষ ভাবে সুস্থ মস্তিষ্কে একে অপরকে দোষারোপ না করে সকল মতভেদ ভুলে গিয়ে যাতে সকলেই সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগী করতে পারে সে ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করবেন ।   


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন