কুরবানী ও আক্বীকার কিছু মাসায়েল
১ম অংশ দেখুন- http://sottersondhane.blogspot.com/2012/10/blog-post_12.html
মুক্বীম অবস্থায় নিজের ও নিজ পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি পশু :
(১) আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি শিংওয়ালা সুন্দর সাদা-কালো দুম্বা আনতে বললেন... অতঃপর দো‘আ পড়লেন بِسْمِ اللهِ أللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَّ آلِ مُحَمَّدٍ وَّ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ-
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন ওয়া মিন উম্মাতি মুহাম্মাদিন ।
অর্থঃ ‘আল্লাহ্ নামে (কুরবানী করছি), হে আল্লাহ । আপনি কবুল করুন মুহাম্মাদের পক্ষ হ’তে, তার পরিবারের পক্ষ হ’তে ও তাঁর উম্মতের পক্ষ হ’তে’ । এরপর উক্ত দুম্বা কুরবানী করলেন (ছহীহ মুসলিম, ছহীহ তিরমিযী হা/১২১০, ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৪২৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩১২৮; মিশকাত, পৃঃ ১২৭, ২৮, হা/১৪৫৪ ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)
(১) আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি শিংওয়ালা সুন্দর সাদা-কালো দুম্বা আনতে বললেন... অতঃপর দো‘আ পড়লেন بِسْمِ اللهِ أللّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنْ مُحَمَّدٍ وَّ آلِ مُحَمَّدٍ وَّ مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ-
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা তাক্বাববাল মিন মুহাম্মাদিন ওয়া আলি মুহাম্মাদিন ওয়া মিন উম্মাতি মুহাম্মাদিন ।
অর্থঃ ‘আল্লাহ্ নামে (কুরবানী করছি), হে আল্লাহ । আপনি কবুল করুন মুহাম্মাদের পক্ষ হ’তে, তার পরিবারের পক্ষ হ’তে ও তাঁর উম্মতের পক্ষ হ’তে’ । এরপর উক্ত দুম্বা কুরবানী করলেন (ছহীহ মুসলিম, ছহীহ তিরমিযী হা/১২১০, ছহীহ আবুদাঊদ হা/২৪২৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩১২৮; মিশকাত, পৃঃ ১২৭, ২৮, হা/১৪৫৪ ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)
(২) রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বিদায় হজ্জে আরাফার দিনে সমবেত জনমন্ডলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,
يَآ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ فِىْ كُلِّ عَامٍ أُضْحِيَة وَ عَتِيْرَةً...
‘হে জনমন্ডলী!
নিশ্চয়ই প্রতিটি পরিবারের
উপরে প্রতি বছর একটি করে কুরবানী ও আতীরাহ’। আবুদাঊদ বলেন, ‘আতীরাহ’ প্রদানের হুকুম পরে রহিত
করা হয় (সনদ
ছহীহ, আলবানী-ছহীহ তিরমিযী হা/১২২৫; ছহীহ আবুদাউদ হা/২৪২১; ছহীহ নাসাঈ (বৈরুতঃ ১৯৮৮), হা/৩৯৪০; ছহীহ ইবনে
মাজাহ হা/২৫৩৩; মিশকাত হা/১৪৭৮) হাদীছটির
সনদ ‘শক্তিশালী’ (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১০/৬ পৃঃ)
(৩) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পরেও তাঁর সুন্নাত অনুযায়ী
ছাহাবীগণের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের পক্ষ থেকে একটা করে কুরবানী করার প্রচলন ছিল ।
যেমন আতা ইবনু ইয়াসির ছাহাবী আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ)-কে রাসূলের যুগে কেমনভাবে
কুরবানী করা হ’ত মর্মে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘একজন
লোক একটি বকরী দ্বারা নিজের ও নিজের পরিবারের পক্ষ হ’তে কুরবানী দিত । অতঃপর তা নিজে খেত ও অন্যকে খাওয়াত (ছহীহ তিরমিযী হা/১২১৬ ‘কুরবানী’অধ্যায়; ছহীহ ইবনু মাজাহ
হা/২৫৩৩ ‘নিজ পরিবারের পক্ষ হতে
একটা বকরী কুরবানী করা’ অনুচ্ছেদ, ‘কুরবানী’ অধ্যায়)
ইমাম শাওকানী (রহঃ) উপরোক্ত পরপর তিনটি হাদীছ পেশ করে বলেন, হক কথা হ’ল, একটি
পরিবারের পক্ষ হ’তে একটি ছাগলই যথেষ্ট, যদিও সেই পরিবারের সদস্য সংখ্যা শতাধিক হয়’ (নায়লুল আওত্বার ৬/১২১ পৃঃ, ‘একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি ছাগল
কুরবানী করাই যথেষ্ট’ অনুচ্ছেদ) ।
তাই একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পশু কুরবানী করাই যথেষ্ট ।
তবে সার্মথ থাকলে একাধিক পশুও কুরবানী করতে পারবে ।
‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
নিজ হাত দ্বারা দু’টি
শিংওয়ালা দুম্বা কুরবানী করেছেন’ (ছহীহ বুখারী হা/৫৫৬৪-৬৫; ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৩
প্রভৃতি)
কখনও তিনি দু’-এর অধিক দুম্বা, খাসী,
বকরী (ছাগল), গরু ও উট কুরবানী করেছেন (ফাৎহুল বারী ১০/৯ পৃঃ ৫৭; মিরা‘আত হা/১৪৭৪,
২/৩৫৪ পৃঃ)
প্রখ্যাত ছাহাবী আবু সারীহা (রাঃ) বলেন, ‘একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটা অথবা দু’টা করে বকরী কুরবানী করা হত (সহিহ ইবনু মাজাহ হা/২৫৪৭)
প্রখ্যাত ছাহাবী আবু সারীহা (রাঃ) বলেন, ‘একটি পরিবারের পক্ষ থেকে একটা অথবা দু’টা করে বকরী কুরবানী করা হত (সহিহ ইবনু মাজাহ হা/২৫৪৭)
কুরবানীর বদলে তার
মূল্য ছাদাক্বা করা নাজায়েয । আল্লাহর রাহে পশুর প্রান ও রক্ত প্রবাহিত করাই এখানে
মূল ইবাদত । যদি কেউ কুরবানীর বদলে তার মূল্য ছাদাক্বা করতে চান, তবে তিনি
মুহাম্মাদী শরী‘আতের প্রকাশ্য বিরোধিতা করবেন- মাজমূ ‘ফাতাওয়া
ইবনে তায়মিয়াহ, ২৬/৩০৪; মুগনী, ১১/৯৪-৯৫ পৃঃ
কুরবানীর পশু যবহ
করা কিংবা কুটা-বাছা বাবদ কুরবানীর গোশত বা চামড়ার পয়সা হ’তে কোনরূপ মজুরী
দেওয়া যাবে না । ছাহাবীগণ নিজ নিজ পকেট থেকে এই মজুরী দিতেন
। অবশ্য ঐ ব্যক্তি দরিদ্র হলে হাদিয়া স্বরূপ তাকে কিছু দেওয়ায় দোষ নেই- আল-মুগনী, ১১/১১০ পৃঃ
গোশত বন্টন: সূরা আল হজ্বের ৩৬ নং
আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরবানীর গোশত কি করতে হবে সে সম্পর্কে বলেন,
‘কুরবানীর পর যখন
পশু নির্জীব হয়ে যায়, তখন তা থেকে তোমরা নিজেরা খাও এবং ওই সব লোকদের খেতে দাও, যারা অল্পে তুষ্ট এবং যারা কারো কাছে হাত পাতে না । আর ওইসব লোকদেরও দাও যারা নিজেদের প্রয়োজন
পেশ করে'
।
কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ (নিজেরা খাও) নিজ পরিবারের
খাওয়ার জন্য, এক ভাগ প্রতিবেশী বা আত্মীয় স্বজন (হাত পাতে না) যারা কুরবানী করতে
পারেনি তাদের জন্য ও এক ভাগ সায়েল ফক্বীর-মিসকীন (প্রয়োজন পেশ করে) দের মধ্যে
বিতরণ করবে ।
প্রয়োজনে উক্ত বন্টনে কমবেশী করায় কোন দোষ নেই । কুরবানী
যেহেতু আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য সেহেতু যত বেশী গোশত অন্যদের বিলিয়ে দিবেন ততই সয়াব
বেশি পাবেন । এ ক্ষেত্রে কার্পণ্য করা উচিত নয় । আপনি সামর্থবান গোশত
কিনেও ক্ষেতে পারবেন ।
যদি কেউ মৃতের নামে কুরবানী করেন, তবে
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (১১৮-১৮১ হিঃ) বলেন, তাকে (মৃতের ভাগের) সবটুকুই
ছাদাক্বা করে দিতে হবে- তিরমিযী তুহফা সহ,
হা/১৫২৮, ৫/৭৯ পৃঃ; মির‘আত ৫/৯৪ পৃঃ
কুরবানীর গোশত যতদিন খুশী রেখে খাওয়া যায়- হজ্জ ৩৬; সুবুলুস
সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮; আল-মুগনী ১১/১০৮; মির‘আত ২/৩৬৯; ঐ, ৫/১২০ পৃঃ
তবে আপনি ধনী ব্যাক্তি সুরা আল হজ্জের ৩৬ নং আয়াতে উল্লেখিত
দুই শ্রেণীকে কম বা না দিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন
না ।
কুরবানীর গোশত বিক্রি করা নিষেধ । তবে তার চামড়া বিক্রি করে-(আহমাদ,
মির‘আত ৫/১২১; আল-মুগনী ১১/১১১ পৃঃ)
শরী‘আত
নির্দেশিত ছাদাক্বার খাত সমূহে ব্যয় করবে (তওবা ৬০)
প্রশ্ন (১) ভাই-বোনে পৃথক পরিবার । তারা কি একত্রে
কুরবানী দিতে পারবে ?
উত্তরঃ প্রতিটি পরিবারের জন্য পৃথক পৃথক কুরবানী দেওয়াই ছহীহ
হাদীছ সম্মত । সুতরাং ভাই-বোনে যেহেতু পৃথক পরিবার, সেহেতু তাদেরকে পৃথক ভাবে একটি
করে কুরবানী দিতে হবে । একটি কুরবানী অর্থ একটি পশু । পশুর ভাগা নয় (দলিল উপরের
আলোচনা দ্রঃ)
ভাগা কুরবানী: সফরে থাকাকালীন সময়ে ঈদুল আযহা উপস্থিত হ’লে একটি পশুতে একে
অপরে শরীক হয়ে ভাগে কুরবানী করা যায় । নিম্নে দলীল সহ বর্ণিত হ’ল-
(ক) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى سَفَرٍ فَحَضَرَ الأَضْحَى فَاشْتَرَكْنَا فِى الْبَقَرَةِ سَبْعَةً وَفِى الْبَعِيرِ عَشَرَةً ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম । এমতাবস্থায় কুরবানীর ঈদ উপস্থিত হ’ল । তখন আমরা সাত জন একটি গরুতে ও দশ জন একটি উটে শরীক হ’লাম (ছহীহ তিরমিযী হা/১২১৪; ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/৩১২৮, ছহীহ নাসাঈ হা/৪০৯০; সনদ ছহীহ, আলবানী, মিশকাত হা/১৪৬৯, ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)
(ক) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى سَفَرٍ فَحَضَرَ الأَضْحَى فَاشْتَرَكْنَا فِى الْبَقَرَةِ سَبْعَةً وَفِى الْبَعِيرِ عَشَرَةً ‘আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম । এমতাবস্থায় কুরবানীর ঈদ উপস্থিত হ’ল । তখন আমরা সাত জন একটি গরুতে ও দশ জন একটি উটে শরীক হ’লাম (ছহীহ তিরমিযী হা/১২১৪; ছহীহ ইবনে মাজাহ হা/৩১২৮, ছহীহ নাসাঈ হা/৪০৯০; সনদ ছহীহ, আলবানী, মিশকাত হা/১৪৬৯, ‘কুরবানী’ অনুচ্ছেদ)
(খ) জাবির (রাঃ) বলেন, نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بالْحُدَيْبِيَةِ الْبُدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ
عَنْ سَبْعَةٍ হুদায়বিয়ার সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ছিলাম । তখন একটি
গরুতে সাত জন ও একটি উটে সাত শরীক হয়ে কুরবানী করেছিলাম (ছহীহ
মুসলিম হা/১৩১৮ ‘হজ্জ’অধ্যায়; ছহীহ
আবুদাঊদ হা/২৪৩৫; ছহীহ তিরমিযী হা/১২১৪; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩১৩২)
(গ) জাবির (রাঃ) বলেন, حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে হজ্জের সফরে ছিলাম । তখন সাত জনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং সাত জনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছিলাম (ছহীহ মুসলিম ২/৯৫৫ পৃঃ হা/৩২৪৯)
(গ) জাবির (রাঃ) বলেন, حَجَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَحَرْنَا الْبَعِيرَ عَنْ سَبْعَةٍ وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে হজ্জের সফরে ছিলাম । তখন সাত জনের পক্ষ থেকে একটি উট এবং সাত জনের পক্ষ থেকে একটি গরু কুরবানী করেছিলাম (ছহীহ মুসলিম ২/৯৫৫ পৃঃ হা/৩২৪৯)
(ঘ) উক্ত জাবির
(রাঃ) বলেন, كُنَّا نَتَمَتَّعُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ فَنَذْبَحُ الْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ ‘আমরা নবী করীম (ছাঃ)-এর সঙ্গে তামাত্তু হজ্জের সফরে ছিলাম । তখন সাত জনে মিলে একটি গরু কুরবানী
করেছিলাম’ (মুসলিম হা/৩২৫২, নাসাঈ হা/৪৩৯৩, আবুদাউদ হা/২৮০৭)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে মুক্বীম ও মুসাফির
অবস্থায় কুরবানী করার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে ।
‘উপরন্তু কুরবানী হ’ল পিতা ইবরাহীমের সুন্নাত । আর তা ছিল ইসমাঈলের
জীবনের বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ হ’তে পাঠানো একটি পশুর জীবন । অর্থাৎ দুম্বা যা একটি মানব প্রানের বিনিময়ে একটি
পশুর জীনব ও রক্ত প্রবাহিত করা হয়েছিল ।
এক্ষণে যদি আমরা ভাগা কুরবানী করি, তাহ’লে পশুর হাড়-হাড্ডি ও
গোশত ভাগ করতে পারব, কিন্তু তার জীবনটা কার ভাগে পড়বে ?
অতএব ইবরাহীমী ও মুহাম্মাদী সুন্নাতের অনুসরণে নিজের
ও নিজ পরিবারের পক্ষ হ’তে আল্লাহ্ রাহে একটি জীবন তথা একটি পূর্ণাঙ্গ পশু কুরবানী
দেওয়া উচিত, পশুর দেহের কোন খন্ডিত অংশ নয়’
অনেকে বলেন, সফরের হাদীছগুলো আম । যদি আম হয় তাহ’লে রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) ও ছাহাবীগণ মুক্বীম অবস্থায় ভাগা কুরবানী করতেন মর্মে দলীল কোথায় ?
প্রশ্নঃ সাত ভাগে কুরবানী দেয়ার পক্ষে অনেক আলেমকেই জোর
প্রচারণা চালাতে দেখা যায় । বিষয়টি কেন শরী’আত সম্মত হবে না- তা ছহীহ
হাদীছের আলোকে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে বাধিত করবেন ?
উত্তরঃ ভাগা কুরবানীর হাদীছ
সফরের সাথে সংশ্লিষ্ট । মুক্বীম অবস্থায় ভাগে কুরবানী করার কোন ছহীহ দলিল পাওয়া
যায় না । তবে সফরে বা মুসাফির অবস্থায় ভাগে কুরবানী দিতে পারবে এর ছহীহ দলিল আছে
(উপরের আলোচনা দ্রঃ)
(২য় চলবে ৩য় পর্যন্ত)
ঈদ মোবারক
উত্তরমুছুন;;;;;;;;;;
বাকা চাদের হাসিতে
দাওয়াত দিলাম আসিতে
আসবে কিন্তু বাড়িতে
বসতে দিবো পিড়িতে
আসতে যদি না পারো
ঈদ মোবারক গ্রহন করো।
মুহা.আল.আমিন