সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

পোষাক ও চুল-দাড়ির শরীয় বিধান


পোষাক ও চুল-দাড়ির শরীয় বিধান

পোষাক ও বেশ ভূষার শরীয় বিধানঃ সকালে নাস্তা পানি করার পর রুযী রোযগারের তালাশে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য প্রায় সকলেই বাড়ী থেকে বের হতে হয় । এ সময় মানুষ সাধারনত পোষাক পরিবর্তণ করে । সুতরাং পোষাকের ইসলামী বিধান জেনে নেয়া একান্ত প্রয়োজন ।

পোষাকের ব্যাপারে আলাহ্‌ তা’আলা বলেন-

হে বনী আদম! আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য পোষাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জা স্থান সমুহ আবৃত করে রাখে এবং অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্রও । আর পরহেজগারীর পোষাক । এটি সর্বোত্তম । এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শণ যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করেন (সুরা আরাফ আয়াত ২৬)

রাসুল (সাঃ) বলেন নাভীর নীচে থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গটি পুরুষের গুপ্তাঙ্গ (দারা কুতনী ১ম খন্ড ২৩০ পৃঃ); তবে নামাযের জন্য হাঁটু এবং কাঁধ ঢাকতে হবে (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৭২ পৃঃ)

আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত নবী (সাঃ) বলেন যে ব্যক্তি টাকনুর নীচে ইযার পরবে সে জাহান্নামে যাবে (বুখারী হাঃ ৫৩৬২);

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে একদা নবী (সাঃ) বললেন, তিন প্রকার মানুষ আছে, যাদের সঙ্গে আল্লাহ তা’আলা ক্বিয়ামতের দিন কোন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি রহ্‌মতের দৃষ্টিপাত করবেন না এবং তাদেরকে পাক-সাফ করবেন না । আর তাদের জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক আযাব নির্ধারিত রয়েছে । আবু যার (রাযিঃ) এ কথা শুনার সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন, তাদের জন্য তো অধঃপতন ও ধ্বংস- হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! তারা কারা ? রাসুল (সাঃ) বললেন- ১) যে ব্যক্তি পরিধেয় বস্ত্র পায়ের গিঁটের নীচে পৌঁছায়, ২) যে ব্যক্তি উপকারের খোঁটা দেয়, ৩) আর যে ব্যক্তি মিথ্যা কসম দ্বারা নিজের মাল চালু করার চেষ্টা করে (মুসলিম, মেশকাত হাঃ ২৬৭৩);
নবী (সাঃ) বলেন একজন ঈমানদার ব্যক্তির পরনের কাপড় তার হাঁটু ও পায়ের মাঝ বরাবর থাকবে । ঐ নলার মাঝ খান থেকে পায়ের গিরা পর্যন্ত নামলে আপত্তি নেই । কিন্তু গিরা বা গিটের নীচে নামলে তা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে । এ কথা তিনি (সাঃ) তিনবার বলেন । অতঃপর তিনি বলেন যে ব্যক্তি গর্ব ভরে তার পরনের কাপড় গিরার নিচে ঝুলিয়ে দেয়, মহান আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তার দিকে রাহমাতের নযরে তাকাবেন না (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মেশকাত ৩৭৪ পৃঃ)

নারীদের গুপ্তাঙ্গ সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেন, নারীই গুপ্তাঙ্গ (তিরমিযী, মেশকাত ২৬৯ পৃঃ)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
যে ব্যক্তি অহঙ্কারবশত কাপড় ঝুলিয়ে রাখে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকাবেন না । তখন উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা রা. জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে মহিলারা তাদের কাপড়ের ঝুল কীভাবে রাখবে ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক বিঘত ঝুলিয়ে রাখবে। উম্মে সালামা বললেন, এতে তো তাদের পা অনাবৃত থাকবে । তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে এক হাত ঝুলিয়ে রাখবে, এর বেশি নয় (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৪১১৭; জামে তিরমিযী /২২৩; সুনানে নাসাঈ /২০৯; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১১/৮২)

নবী (সাঃ) বলেন আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশমের পোষাক পরা হালাল । কিন্তু পুরুষের জন্য তা হারাম (তিরমিযী, নাসায়ী, মেশকাত ৩৭৫ পৃঃ)


তিনি (সাঃ) বলেন তোমরা সাদা কাপড় পড় । কারণ এটা অধিকতর পরিষ্কার এবং অধিক মনোরম । আর তোমারা এই সাদা কাপড় দিয়েই তোমাদের মৃত ব্যক্তিকে কাফন দাও (আহমাদ, তিরমিযী, নাসায়ী, মেশকাত ৩৭৪ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আসকে দুটি গেরুয়া রং কাপড় পরতে দেখে বলেন এটা কাফিরদের পোষাকের অন্তর্ভূক্ত । তাই তুমি এ দুটুকে পরনা । অন্য বর্ণনায় আছে তুমি এ দুটুকে পুড়িয়ে দাও (মুসলিম, মেশকাত ৩৭৪ পৃঃ);

তবে গেরুয়া রং পোষাক নারীদের জন্য আপত্তিকর নয় (আবু দাউদ, মেশকাত ৩৭৫ পৃঃ)

আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে পুরুষ নারীদের পোষাক পরে এবং যে নারী পুরুষের পোষাক পরে তাদেরকে রাসুল (সাঃ) অভিসম্পাদ দিয়েছেন (আবু দাউদ, মেশকাত ৩৮৩ পৃঃ)

যে সব পুরুষেরা নারীর রুপ ধারণ করে এবং যেসব নারীরা পুরুষের বেশ ধরে তাদেরকে নবী (সাঃ) লা’নত দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, ওদেরকে তোমারা তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও (বুখারী মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

যে কোন পোষাক ডান দিক থেকে পরা সুন্নত যেমন পাঞ্জাবী, পায়জামা, মোজা, গেঞ্জী, শিরওয়ানী ইত্যাদি পোষাক পরার সময় ডান পা এবং ডান হাত আগে ঢুকানো সুন্নাত (তিরমিযী, মেশকাত ৩৭৪ পৃঃ)

পোষাক পরিধানের দু’আঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী হা যা ওয়া রাযাকা নীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়াল কুওয়াহ ।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা একমাত্র সেই আল্লাহর জন্য যিনি শক্তি সামর্থ ছড়াই আমাকে এটা পরিধান করিয়েছেন এবং এটা দান করেছেন (আবু দাউদ, মেশকাত ৩৭৫ পৃঃ)

নতুন কাপড় পরার সময় বিশেষ দু’আঃ আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আনঁতা কাছওতানীহি, আস্‌আলুকা মিন খাইরিহি ওয়া খাইরি মা সুনি আলাহু ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনিআ লাহ্‌ ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা । তুমি আমাকে ইহা পরিয়েছ । সুতরাং আমি তোমার নিকট এর কল্যাণ এবং যে জন্য এটা তৈরী করা হয়েছে তার কল্যাণ কামনা করছি । আর আমি তোমার নিকট ইহার অকল্যাণ এবং এটা যে জন্য তৈরী হয়েছে তার অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি (তিরমিযী, আবু দাউদ, আলবানী মেশকাত, হিসনুল মুসলিম ২/১২৪৫ পৃঃ)  

চুল-দাঁডির বিবরণঃ রাসুল (সাঃ) বলেন, ফিতরত পাঁচটি, অর্থাৎ পাঁচটি জিনিস সমস্ত নবীদের সুন্নাত । ১) খৎনা করা ২) নাভীর নীচের গুপ্তাঙ্গের চুল কামানো ৩) গোঁফ (মুচ) খাঁট করা ৪) হাত পায়ের নখ কাটা ৫) বগলের চুল উঠীয়ে ফেলা (বুখারী, মুসলিম, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

আনাস (রাযি) বলেন গোঁফ খাট করার, নখ কাটার, বগলের নীচের পশম উঠানোর এবং নাভীর নীচের পশম কামানোর জন্য আমাদের দিন তারিখ নির্ধারিত ছিল । তবে চল্লিশ দিনের বেশী কখনও অতিবাহিত হতে দিতাম না (মুসলিম, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন, "তোমরা গোঁফ কর্তন কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও (লম্বা কর ) তোমরা অগ্নিপুজারকদের বিপরীত কর" (মুসলিম , ৫১০)         

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন যে, "তোমরা গোঁফ সমূহ কর্তন কর এবং দাড়ি সমূহ লম্বা কর" (মুসলিম, , ৫০৭)    

হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রঃ) বলেন যে, রাসুল (সঃ) বলেন "দশটি কাজ প্রকৃতির অন্তর্গত । গোঁফ খাটো করা, দাড়ি বড় করা বা লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙ্গুলের গিরাগুলো ঘষে মেজে ধৌত করা, বগলের পশম উপড়িয়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম কাটা, কুলি করা মলমুত্র ত্যাগের পর পানি ব্যাবহার করা" (মুসলিম, , ৫১১) 

'তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করো : দাড়ি বড় করো এবং গোঁফ ছোট করো ।(বুখারী  ৫৮৯২; মুসলিম : ৬২৫)       

চুল, দাঁড়িতে কাল রং ব্যতীত যে কোন রঙ্গের খেযাব লাগানো সুন্নাত
জাবির (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আবু কুহাফা [আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এর পিতা] সাদা ধবধবে চুল, দাঁড়ি নিয়ে রাসুল (সাঃ) এর সামনে আসলেন । নবী (সাঃ) তাঁকে বললেন, এগুলিকে কোন কিছু দ্বারা পরিবর্তন কর । তবে কাল রং থেকে পরহেজ কর (মুসলিম, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) এর চুল বাবরী কাটা ছিল । ফকীরদের মত ঘাড় পর্যন্ত ছিল না । কখনও ঘাড় পর্যন্ত লম্বা হয়ে গেলে কানের লতি সমান করে কেঁটে ফেলতেন (তিরমিযী, মেশকাত ৩৮২ পৃঃ);

নবী (সাঃ) পুরুষের মাথার চুল কিছু অংশ খাট করে আর কিছু অংশ লম্বা করে রাখতে নিষেধ করেছেন । তিনি বলতেন, হয় সব চুল মুড়িয়ে দাও না হয় সবটাই ছেড়ে দাও (মুসলিম, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

তিনি (সাঃ) বলেছেন, তোমরা পাকা চুল উঠিয়ে ফেলোনা । কেননা এটা মুসলমানের জ্যোতি-আলো । যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে বুড়ো হয় তার জন্য এর বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা নেকী লিখে দেন এবং তার গোনাহ মাফ করে দেন এবং মর্যাদাও বাড়িয়ে দেন (আবু দাউদ, মেশকাত ৩৮২ পৃঃ)

আয়না দেখার দু’আঃ মাথার চুল ও দাঁড়ি আঁচড়াতে এবং মুখ দেখার জন্য আয়নার প্রয়োজন হয় । তাই আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) যখন আয়নাতে দৃষ্টি রাখতের তখন নিম্নলিখিত দু’আটি পড়তেন ।

আল্লাহুম্মা হাস্‌সানতা খালক্বী ফা আহসিন খুলুক্বী ।
অর্থঃ হে আল্লাক! তুমি আমার সৃজন-আকৃতি সুন্দর করেছ । সুতরাং আমার চরিত্রকে সুন্দর করে দাও (মুসনাদে আহমাদ, মেশকাত ৪৩২ পৃঃ)

জুতা পায়ে দেয়ার শরয়ী বিধানঃ জুতা ও মুজা পরার সময় ডান পায়েরটি আগে পরবে আর খোলার সময় বাম পায়েরটি আগে খুলবে (বুখারী, মুসলিম মেশকাত ২৭৯-৮০ পৃঃ);

সুন্নাত হচ্ছে যখন কোন লোক বসবে তখন সে তার জুতা খুলে পাশে রেখে দিবে (আবু দাউদ, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

আংটি ও অন্যান্য আলংকারাদি সম্বন্ধে শরয়ী বিধানঃ উকবা বিন আমির থেকে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) পুরুষের জন্য আলংকার এবং রেশম পরতে নিষেধ করতেন রবং বলতেন তোমরা যদি বেহেশতের আলংকার এবং রেশম পরতে পছন্দ কর তাহলে এগুলি দুনিয়ায় কখনও পরিধান করিওনা (নাসায়ী, মেশকাত ৩৭৯ পৃঃ)

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাযিঃ) বলেন একদা রাসুল (সাঃ) জনৈক সাহাবীর হাতে স্বর্নের আংটি দেখে সেটাকে খুলে ফেলে দেন । তারপর তিনি (সাঃ) বললেন, তোমাদের কেউ যদি জাহান্নামের অঙ্গার চায়, তাহলে সে এটা তার হাতে রেখে দিক । অতঃপর রাসুল (সাঃ) চলে গেলে সাহাবীকে বলা হল, আংটিটা তুলে নাও এবং এর দ্বারা অন্যভাবে ফায়দা হাসিল কর । তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তা কখনই তুলে নেব না যা রাসুল (সাঃ) ফেলে দিয়েছেন (মুসলিম, মেশকাত ৩৭৮ পৃঃ)

বুরায়দা (রাযিঃ) এর বর্ণনায়, নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে বলেন, যার হাতে পিতলের বা বুরুঞ্জের আংটি ছিল । আমার কি হল যে আমি তোমার থেকে মুর্তির গন্ধ পাচ্ছি । সুতরাং লোকটি আংটি ফেলে দিল । তারপর সে একটি লোহার আংটি পরে আবার এল । এবার রাসুল (সাঃ) বললেন, আমার কি হল যে তোমার উপর জাহান্নামীদের গহনা দেখছি । সুতরাং লোকটি এটাও ফেলে দিল এবং সে বলল, তাহলে আমি কোন জিনিস দিয়ে আংটি বানাবো । তিনি (সাঃ) বললেন, চাঁদি দিয়ে, আর তাও যেন এক মিসকাল (সিকি তোলা) পুরা না হয় (তিরমিযী, আবু দাউদ, মেশকাত ৩৭৮ পৃঃ)

আলী (রাযিঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) আমাকে মধ্যমা ও তর্জনী আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন (মুসলিম, মেশকাত ৩৭৮ পৃঃ)

রাসুল (সাঃ) এর আংটি পরা ফ্যাশনের জন্য ছিল না বরং তা সীল মোহর হিসেবে ব্যবহৃত হত । তাতে লিখা ছিল, আরবী ভাষায় নীচে উপরে তিনটি লাইন (মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ) তার নমুনা নীচে থেকে পড়তে হত (বুখারী, মেশকাত ৩৭৮ পৃঃ)
আল্লাহ
রাসুল
মুহাম্মদ (আরবীতে হরকত ছাড়া লিখা)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন