বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১২

পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ তথা দাড়ি


পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ তথা দাড়ি

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন- হে যারা ঈমান এনেছ পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ কর (বাক্বারা, আয়াত ২০৮);

আর তোমরা মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না (ইমরান, আয়াত ১০২)

কিভাবে আমরা পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করব আর প্রকৃত মুসলমান হব ?

কুরআনে আছে- আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রাসুলের (ইমরান, আয়াত ৩২, ১৩২; নিসা, আয়াত ৫৯; আনফাল, আয়াত ১, ২০, ৪৬; নুর, আয়াত ৫৪, ৫৬; মুহাম্মদ, আয়াত ৩৩; মুজাদালাহ, আয়াত ১৩; আততাগাবুন, আয়াত ১২);

রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা যদি ২টা জিনিষ আঁকরে ধরে থাক তাহলে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না, এ দু’টি জিনিষ হলো আল্লাহর কুরআন ও আমার সুন্নাহ (মিশকাত ১ম খন্ড হা ১৭৭);

আমরা যারা নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করি উপরের কথাগুল কতটুকু মেনে চলি ।

প্রকৃত মুসলমান হতে হলে পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করতে হলে পুরুষের মুখের দাড়ির কোন ভুমিকা আছে কি এবং এ ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশ কি ?

তা আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন । সে নির্দেশকে যদি আমরা মেনে না চলি আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন থাকবে-

তাহলে আমরা কি পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করতে পারব বা প্রকৃত মুসলমান হতে পারব ?

দাড়ি সম্পর্কে নীম্নে কিছু শরিয়া নির্দেশ উল্লেখ করলাম-

পবিত্র কুরআনে দাড়ি সম্পর্কে একটি আয়াত আছে- মুসা (আঃ) তাঁর কওমের নিকট ফিরে এসে যখন দেখলেন তাঁর কওম গোমরা হয়ে গেছে, তখন তিনি হারুন (আঃ) কে প্রশ্ন করলেন এবং হারুন (আঃ) জবাবে বলেনঃ

“হে আমার মায়ের ছেলে! আমার দাড়ি ধরো না এবং আমার মাথার চুলও টেনো না” (ত্বোয়া-হা আয়াত ৯৪)

এখানে বুঝা যাচ্ছে হারুন (আঃ) এর দাড়ি ছিল আর মুসা (আঃ) তার দাড়ি ধরেছিলেন ।

সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি হয়েছে-

আর আমি প্রত্যেক জিনিসকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি (যারিয়াত আয়াত ৪৯)

পূত পবিত্র সেই সত্তা যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, মানুষকে এবং যা তারা জানে না তার প্রত্যেককে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন (ইয়াসিন আয়াত ৩৬)

আমি (আল্লাহ) তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি (আন্‌-নাবা আয়াত ৮)

উপরের আয়াতত্রয় অনুযায়ী দাড়ির মাধ্যমে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

যথাঃ ১) দাড়িযুক্ত মানুষ (পুরুষ) ও

    ২) দাড়িবিহীন মানুষ (বিশেষ করে মহিলা)

কোন পুরুষকে যদি বলা হয় আপনি কি মহিলা হতে চান ?

কোন বিবেকবান লোকই তা চাবে না । তাহলে আমরা কেন আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশের বিপরীত কাজ করি ।

অর্থাৎ দাড়ি ক্লিন করে মহিলাদের আকার ধারন করি!!

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, "আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই " (রুম ৩০)

প্রসঙ্গে শয়তানের একটা উদ্ধত ঘোষণাও আল্লাহ তাআলা বান্দাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন । আল্লাহ তাআলা বলেন, আর সে (আল্লাহকে) বলেছিল, আমি তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্ধারিত এক অংশকে নিয়ে নেব । এবং আমি তাদেরকে সরল পথ হতে নিশ্চিতভাবে বিচ্যুৎ করব, তাদেরকে অনেক আশা-ভরসা দেব, এবং তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা চতুষ্পদ জন্তুর কান চিরে ফেলবে । এবং তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে বন্ধু বানায়, সে সুস্পষ্ট লোকসানের মধ্যে পড়ে যায় । (নিসা আয়াত ১১৮,১১৯)

এবং তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।আয়াতের অংশের আলোচনায় আল্লামা শাববীর আহমদ উসমানী রাহ. বলেছেন, দাড়ি মুন্ডানোও আকৃতি পরিবর্তনের মধ্যে পড়ে ।(দেখুন : তাফসীরে উসমানী (মূল) পৃ. ১২৫; (অনুবাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন /৪৪৬)        

তাফসীরে বয়ানুল কুরআনেও আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা ফাসেকী কাজকর্মের অন্তর্ভুক্ত । যেমন দাড়ি মুন্ডানো, শরীরে উল্কি আঁকা ইত্যাদি ।-তাফসীরে বয়ানুল কুরআন //১৫৭     

আমি একজন পরহেজগার মহিলা চিনি যার মুখে আল্লাহ পাক দাড়ির মত একটা চুল দিয়েছে । তিনি অত্যন্ত যত্ন সহকারে তা রেখেছে এবং বলে আমাকে যদি আল্লাহ সম্পূর্ণ মুখে দাড়ি দিত তাহলে তা আমি কোন দিনও ক্লিন করতাম না ।

আল্লাহ পাক পুরুষদের এ বুঝ দান করুন । আমীণ!

হাদিসঃ যে সব পুরুষেরা নারীর রুপ ধারণ করে এবং যেসব নারীরা পুরুষের বেশ ধরে তাদেরকে নবী (সাঃ) লা’নত দিয়েছেন এবং বলেছেন যে, ওদেরকে তোমারা তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও (বুখারী, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

শরী’আতের হুকুমের গোপন রহস্য ও হিকমাত পরিপূর্ণভাবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না । সুতরাং শরী’আতের কোন হুকুমের রহস্য ও হিকমাত কারো বুঝে আসুক বা না আসুক তা যে মহান আল্লাহর হুকুম এজন্য বিনা দ্বিধায় অবশ্যই পালন করতে হবে ।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন, "তোমরা গোঁফ কর্তন কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও (লম্বা কর ) তোমরা অগ্নিপুজারকদের বিপরীত কর"
 جزوا الشوارب وارخوا ا للحى، خالفوا المجوس (মুসলিম শরীফ,/১২৯মুসলিম , ৫১০)  

আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দুজন দূত পাঠান । এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড় ।

রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে তাদের এই অবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিল যে তিনি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ধ্বংস হোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে ? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা । তিনি (সাঃ) তখন উত্তর দেন, আমার রব্ব, যিনি পবিত্র সম্মানিত আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়ি ছেড়ে দেই এবং গোঁফ ছোট রাখি ।
 ولكن ربي أمرني بإعفاء لحيتي وقص شاربي (ইবনে জারির আত তাবারি, ইবন সা ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত । আল আলবানি একে হাসান বলেছেন । দেখুন আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা; আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া /৪৫৯-৪৬০)  

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সঃ) থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেন যে, " তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, গোঁফ সমূহ কর্তন কর এবং দাড়ি সমূহ লম্বা কর"
 إنه أمر بإحفاء الشوارب وإعفاء اللحية
خالفوا المشركين، وفروا اللحى واحفوا الشوارب
خالفوا المشركين، واحفوا الشوارب وأوفوا اللحى
انهكوا الشوارب واعفوا اللحى
(বুখারী শরীফ- /৮৭৫; মুসলিম, , ৫০৭; সহীহ মুসলিম হাঃ নং ৬০০, ৬০২ , সহীহুল বুখারী হাঃ নং ৫৮৯২, ৫৮৯৩

হযরত আয়শা সিদ্দিকা (রঃ) বলেন যে, রাসুল (সঃ) বলেন "দশটি কাজ প্রকৃতির অন্তর্গত । গোঁফ খাটো করা, দাড়ি বড় করা বা লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, আঙ্গুলের গিরাগুলো ঘষে মেজে ধৌত করা, বগলের পশম উপড়িয়ে ফেলা, নাভির নিচের লোম কাটা, কুলি করা মলমুত্র ত্যাগের পর পানি ব্যাবহার করা" (মুসলিম শরীফ,/১২৯;  মুসলিম, , ৫১১ 

'তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করো : দাড়ি বড় করো এবং গোঁফ ছোট করো (বুখারী  ৫৮৯২; মুসলিম : ৬২৫)  

বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা রাহ. বলেন, জনৈক অগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিল । তার দাড়ি মুন্ডানো ছিল মোচ লম্বা ছিল । আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা কী ?’ সে বলল, ‘এটা আমাদের ধর্মের নিয়ম ।আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটব দাড়ি লম্বা রাখব ।’      
جاء رجل من المجوس إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم قد حلق اللحية وأطال شاربه فقال له النبي صلى الله عليه وسلم ما هذا؟ قال : هذا في ديننا، قال : لكن في ديننا أن نجز الشارب وأن نعفي اللحية.                                 
-
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১৬-১১৭, হাদীস : ২৬০১৩

দাড়ি কি পরিমান রাখতে হবে ?

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা.যখন হজ্জ্ব বা উমরা আদায় করতে, তখন স্বীয় দাঁড়ি মুষ্টি করে ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন । (বুখারী শরীফ- /৮৭৫; প্রাগুক্ত হাদীস : ২৫৯৯৭)     

হযরত আবু হুরায়রা রা. স্বীয় দাঁড়ি ধরতেন, অতঃপর অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন (মুসান্নাফ লি-ইবনি আবি শাইবা- ১৩/১১২; হাদীস : ২৫৯৯২; ২৫৯৯৯ )

হাসান বসরী রাহ. বলেন, তাঁরা (সাহাবা-তাবেয়ীগণ) মুষ্ঠির অতিরিক্ত দাড়ি কাটার অবকাশ দিতেন ।-প্রাগুক্ত ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯৫

সুতরাং কেউ সাহাবিগণকে অনুসরণ করেন সেটা উত্তম ।

পাকা দাড়ি রং দ্বারা পরিবর্তন করার নিয়মঃ

চুল, দাঁড়িতে কাল রং ব্যতীত যে কোন রঙ্গের খেযাব লাগানো সুন্নাত । জাবির (রাযিঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আবু কুহাফা [আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) এর পিতা] সাদা ধবধবে চুল, দাঁড়ি নিয়ে রাসুল (সাঃ) এর সামনে আসলেন । নবী (সাঃ) তাঁকে বললেন, এগুলিকে কোন কিছু দ্বারা পরিবর্তন কর । তবে কাল রং থেকে পরহেজ কর (মুসলিম, মেশকাত ৩৮০ পৃঃ)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেহেদীর রং হল সর্বোত্তম খেযাব (আবুদাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৪৫১) 

কিছু বিশেষজ্ঞের মতে দাড়ি রাখা মুস্তাহাব এবং কারও কারও মতে সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ । আবার কারও কারও মতে ওয়াজীব ।

তবে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে যেহেতু আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসুলের আনুগত্য কর, এ কারনে রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ অনুসরণ করা ফরজ । সুতরাং দাড়ি রাখা মুসলমানদের জন্য ফরজ ।

দাড়ি রাখা যাই হোক না কেন প্রকৃত মুসলমান দাড়ি রাখবে, এটাই স্বাভাবিক ।
আমাদের দাড়িতে মানাক বা না মানাক আমরা আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) কে ভালবেসে দাড়ি রাখব । যে ব্যক্তির দাড়িতে মানায় না অথচ দাড়ি রাখল সে অধিক পরিমান সওয়াব পাবে । ইনশাআল্লাহ!

যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে [মুহাম্মদ স] অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন (ইমরান, আয়াত ৩১);

যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল । আর যে আমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে (তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)

সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন, "যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল । আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি" (নিসা ৮০)      

আর যে রসুলের (সাঃ) এর আদেশ মানলোনা সে আল্লাহর আদেশেরই অবাধ্য হল ।(সহিহ বুখারি ২৯৫৭, ৭১৩৭; সহিহ মুসলিম ১৮৩৫);

"যে আমার সুন্নাহ' বিরাগভাজন হয়, তার আমার সাথে কোন লেনদেন নেই ।" (বুখারী, ৪৬৭৫)

তিনি বলেছেন, "যে আমার সুন্নাহর বিরাগভাজন হয় সে আমার দলভুক্ত নয়" (মুসলিম, ৩২৩৬; বুখারী, আহমদ, নাসায়ী)     

বিশ্বের সকল ইসলাম বিরোধী শক্তি সাধারন অবস্থায় মুসলমানদের বাহ্যিকভাবে যাতে চিনা না যায় সে ব্যাপারে অপপ্রচার চালায় । কেউ বা ঘোষনা করে
“বিশ্বের সকল পুরুষকে দাড়ি মুক্ত দেখতে চাই’’ । এরই ধাবাহিকতায় অনেক দেশে যেতে হলে দাড়ি ক্লিন করে যেতে হয় ।

অথচ আমাদের বিশ্ব আলেম সমাজ দাড়ি রাখার ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ কি সে ব্যাপারে জোড়াল কোন ভুমিকা রাখছেনা । তাদের পক্ষ
থেকে এরকম ঘোষনা করা হল না-

“বিশ্বের সকল পুরুষ মুসলিমদের দাড়ি যুক্ত দেখতে চাই”

অনেক মুসলমান দাড়ি রেখেছে কিন্তু তাদের দাড়ি কি শরিয়া নিয়ম অনুযায়ী ? এটা ভেবে দেখে না !

একটু তাকিয়ে দেখুনঃ- বহির্বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর দিকে, মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র মক্কা-মদিনার দিকে ।

আমাদের দেশের ইসলামিক চিন্তাবিদ, ইসলামিক রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য, বিশ্ব বিদ্যালয়, কোর্ট, হাজী সাহেব, মসজিদ কমিটি ইত্যাদির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দিকে

তবে যারা সহিহ নিয়ম অনুযায়ী দাড়ি রেখেছে এরা সংখ্যায় কত ? খুবই কম

আসুন আমরা আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করি ।

আমি আপনি কি ইসলামের এ হুকুম পালন করে পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করে প্রকৃত মুসলমান হতে পারিনা ?

প্রকৃত মুমিনতো তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনে (হুজরাত, আয়াত ১);

যারা রাসুলের নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদের সতর্ক থাকা উচিত যে তারা যে কোন বিপদের সম্মুখীণ হবে অথবা যন্ত্রনা দায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে (নূর, আয়াত ৬৩);


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন